চট্টগ্রামের রাউজানে কলেজছাত্র হৃদয় হত্যাকাণ্ডে অংশ নিয়েছিলো ৫ ভাড়াটে খুনি। হত্যার পর মাংস কেটে আলাদা করে ফেলেছিলো তারা। র্যাবের হাতে গ্রেফতারের পর হত্যার এমন বর্ণনা দেয় কিলিং মিশনের ২ সদস্য। মুক্তিপণের টাকায় নতুন পোশাক কিনেছিলো তারা।
হৃদয়ের শরীর থেকে মাংস আলাদা করে ফেলেছিল খুনিরা! | Chattogram Hill Crime | Hridoy Murder | Jamuna TV
র্যাব পরিচালক জানান, মূলত রাউজানে আশরাফ শাহ মাজার এলাকায় মুরগীর ফার্মে কাজ করা নিয়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে ফার্মের ম্যানেজার শিবলীকে অপহরণ করা হয়। গত ২৮ আগস্ট রাউজানের পঞ্চপাড়া গ্রাম থেকে অপহরণ করে উমং চিং মারমা ও তার সহযোগীরা। পরিবারের কাছে দাবি করা হয়েছিল ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ। দুই লাখ টাকা দেয়ার পরও মিলেনি মুক্তি। হত্যা করে রাঙ্গামাটির দুর্গম গহীন জঙ্গলে গুম করা হয় শিবলির মরদেহ।
অপহরণের মূল হোতা উমং চিং মারমার দেখানো পাহাড় থেকে ঘটনার ১৪ দিন পর উদ্ধার করা হয়। তবে, পাওয়া গিয়েছিল শুধুমাত্র শিবলীর খণ্ডিত মরদেহ। মরদেহ গুম করার জন্য শরীর থেকে মাংস আলাদা করে বিভিন্ন জায়গায় ফেলে দেয়া হয়েছিল বলে জানান র্যাব-৭ এর অধিনায়ক।
এর আগে এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। হত্যা করে রাঙ্গামাটির দুর্গম গহীন জঙ্গলে গুম করা হয় শিবলির মরদেহ। অপহরণের মূলহোতা উমং চিং মারমার দেখানো জায়গা থেকে মরদেহের খণ্ডিত অংশ উদ্ধার করা হয়েছিল। মরদেহ উদ্ধার করে ফিরে আসার পথে উত্তেজিত জনতা গতিরোধ করে পুলিশের দুটি পিকআপ ভ্যান ও একটি মাইক্রোবাস। ছিনিয়ে নেয় কলেজছাত্র শিবলী সাদিক হৃদয় হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা উমং চিং মারমাকে। গণপিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই মারা যায় সে। ( সুত্র: সময নিউজ )